পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আমাদের সমাজে বেশ কিছু ভুল ধারণা
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আমাদের সমাজে বেশ কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। চলুন, প্রচলিত সেই ভুল ধারণাগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া যাক-
১. ভুল ধারণা : পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া মানেই গার্ল ফ্রেন্ড ম্যানেজ করা নিয়ে নো টেনশন।পাবলিকে পড়তে পারলেই পেছনে গার্ল ফ্রেন্ডদের লাইন লেগে যাবে। একটা গার্ল ফ্রেন্ডতো কোন ব্যাপারই না। পাবলিক ভার্সিটি মানেই একাধিক গার্ল ফ্রেন্ড।
সঠিক ধারণা : গার্লফ্রেন্ড ম্যানেজ করা সবজায়গাতেই কঠিন। সেটা পাবলিক ভার্সিটি কিংবা প্রাইভেট ভার্সিটি আর যাইহোক না কেনো। সত্যি বলতে কি, মাইয়াগুলা না অনেক মোডি! পোলাপানদের পাত্তা দিতে চায় না। 😃
২. ভুল ধারণা : পাবলিকে পড়তে পারলেই হলো। চাকরী পাওয়া নিয়ে কোন চিন্তাই করা লাগবেনা।চাকরীদাতারা উঠে পরে লাগবে কে কার আগে বুকিং দেয় এইটা নিয়ে। পাবলিক ভার্সিটির ট্যাগ থাকলেই হলো, চাকরী আর যায় কই!
সঠিক ধারণা : গার্লফ্রেন্ড ম্যানেজ করার মত চাকরী ম্যানেজ করাও সহজসাধ্য ব্যাপার না।পাবলিকে পড়তে পারলেই চাকরী হয়ে যাবে, এইটা পুরোটাই একটা ফালতু ধারণা। চাকরী পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই যোগ্য হওয়া লাগবে। ভালো রেজাল্ট নিয়ে অনার্স, মাষ্টার্স কমপ্লিট করা সত্ত্বেও অনেক বড় ভাইকে চাকরীর জন্যে হন্যে হয়ে ঘুরতে দেখেছি। তবে এটা সত্য যে, সার্টিফিকেটে একটা পাবলিক ভার্সিটির নাম থাকা মানে, সার্টিফিকেটটার ওজন টা অনেক বেড়ে যাওয়া।
৩. ভুল ধারণা : পাবলিকে পড়া প্রত্যেকটা স্টুডেন্ট ওই একেকটা মাল্টিট্যালেন্টের ডিব্বা! এদের মত এতটা ব্রিলিয়ান্ট আর হয় ই না।
সঠিক ধারণা : পাবলিকে মাল্টিট্যালেন্টদের অভাব নাই, ইভেন আল্ট্রাট্যালেন্টদের সংখ্যাটাও কম না।এরা ড্রোন বানাতে পারে, রোবট বানাতে পারে, নতুন নতুন থিওরী বের করতে পারে, যুগান্তকারী আইডিয়া আবিষ্কার করে সবকিছু বদলে দিতে পারে...এইগুলা সত্য। কিন্তু এর মানে এই না যে, সব পাবলিক পড়ুয়ারাই অসাধারণ ট্যালেন্টেড আর ব্রিলিয়ান্ট হয়। পাবলিকে এমন এমন আবুল মার্কা কম জানা স্টুডেন্ট আছে এদের দেখলে মাঝেমাঝে আপনার সুইসাইড খেতে ইচ্ছে করবে।কেমনে যে এরা চান্স পায়?
৪. ভুল ধারণা : পড়তে পড়তে শহীদ হয়ে পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পেলেই হলো। সুখ আর সুখ! ভার্সিটিতে তো পড়াশুনা একদমই করা লাগে না।
সঠিক ধারণা : কিছু কিছু ডিপার্টমেন্ট আছে এইগুলাতে পড়তে পারলে আপনার লাইফ পুরোটাই হেল হয়ে যাবে। মাঝেমধ্যে কিন্ডারগার্টেনে পড়ছেন নাকি ভার্সিটিতে পড়ছেন এইটা নিয়ে কনফিউজড হয়ে যাবেন। ইন ফিউচারে আপনার সন্তান যখন আপনাকে প্রশ্ন করবে, বাবা তোমাদের ক্লাসে কতটা সুন্দরী মেয়ে ছিলো? আপনি তখন আন্সার দেবেন, বাবা, আমিতো অমুক ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট ছিলাম।পড়াশুনা আর রিসার্চের চাপটা এতটাই বেশী ছিল যে, আমাদের ডিপার্টমেন্টে আদৌ কোন মেয়ে ছিলো কিনা এইটাই খেয়াল করা হয়ে ওঠে নি! 😉
৫. ভুল ধারণা : গাল দুইটা মুখের ভেতরে ঢুকে গেছে, দেখতেও অনেক চিকন, মাথার চুল ইয়া লম্বা, উসকোখুসকোও, হাঁটতে গেলেই শরীরটা ডানে বামে হেলে পড়তে চায়, চোখে চশমা....তারমানে এরা পড়াশুনায় এতটাই বিজি যে, শরীর আর বাইরের পৃথিবী কিভাবে চলে এসব দেখার সময় ই তাদের হয়ে ওঠে না। এত্ত পড়াশুনা কেমনে যে করে!
সঠিক ধারণা : আমার ইয়ারমেট একটা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলো, " এডমিশন টেস্টে যে পরিমাণ পড়াশুনা করছিলাম, এখন যদি তার একভাগ পড়াশুনাও করতাম তাহলে বোধহয় ডিপার্টমেন্টে ফার্স্ট হওয়া কোন ব্যাপারই ছিল না। " বুঝতেই পারছেন অবস্থা করুণ। হাতে গুনা কয়েকজন ব্যতীত বাকীরা সারাদিন এটা ওটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। পড়াশুনার সময় কোথায় তাদের? টার্ম টেস্ট আর সেমিস্টার ফাইনাল আসলেই বই খোলার সুযোগ হয় বেশীর ভাগ স্টুডেন্টেরই। তাও পরীক্ষার আগের রাতে।পরীক্ষার আগের রাতে অনেকেই আবার স্ট্যাটাস মারে " কালকে পরীক্ষা...পড়ার টেবিলে বসতে গিয়েই খেয়াল হলো, আমারতো এখনো বইটাই কেনা হয় নি! "
৬. ভুল ধারণা : ক্লাসরুমে যখন ইচ্ছা ঢোকা যায় আবার যখন ভালো লাগে না তখন বেরিয়ে যাওয়াও যায়। তাছাড়া স্কুল কলেজের মত প্রত্যেক দিন ক্লাস করার ঝামেলাটাও নেই। ইচ্ছা হলেই ক্লাস করো, নাহলে নাই।
সঠিক ধারণা : ছোট বেলায় পাবলিক ভার্সিটি নিয়ে কথা উঠলেই এই ডায়ালগ টা শুনতাম।পাবলিক ভার্সিটিতে নাকি ইচ্ছামত ক্লাস করা যায়, যখন ইচ্ছা তখনি ক্লাসরুমে প্রবেশ করা কিংবা বের হওয়া যায়। ভার্সিটিতে চান্স পেয়ে দেখি, ব্যাপারটা সম্পূর্ণই উল্টো!
একদিনও ক্লাস মিস করা যায় না। স্কুল, কলেজে প্রায়ই অসুখ হয়েছে বলে ফাঁকি দেওয়া যেতো।কিন্তু এখানে এই সুযোগটা নাই। ক্লাস ফাঁকি দিলে কেউ কিছু বলবে না ঠিকি কিন্তু এ্যাটেনডেন্সে মার্কস আছে, যেইটা ফাইনালে যোগ হয়।ব্যস আর ফাঁকি দিবা কেমনে? অনেক স্যারদের ক্লাসে যথা সময়ের অনেক পরে এসেও প্রবেশ করার সুযোগ পাওয়া যায়।আবার অনেক স্যার ক্লাসে ঢুকেই দরজা অফ করে দেয়।দেরীতে আসলে ক্লাস মিস, সহজ হিসাব।আর ক্লাস থেকে ইচ্ছামত বের হওয়ার ব্যাপারটা এখন অবধি চোখে পড়েনি।অনুমতি ব্যতীত বাইরে যাওয়া যাবে না।
৭. ভুল ধারণা : পাবলিকে পড়ুয়াদের টিউশনির কোন অভাব হয় না। উচ্চ বেতনে প্রত্যেকেই চার-পাঁচটা টিউশনি করায়।
সঠিক ধারণা : চার-পাঁচটা টিউশনি অনেকেই করায়। বেশ টাকাও পায়। কিন্তু সবার ভাগ্য তো আর একি না। অনেকেই টিউশনি খুঁজতে খুঁজতে অবস্থা কাহিল করে ফেলে কিন্তু টিউশনি পড়ানোর কোন স্কোপ ই পায় না, উচ্চ বেতন তো অনেক পরের ব্যাপার।
৮. ভুল ধারণা : পড়াশুনার পাশাপাশি সবাই-ই একটা না একটা পার্টটাইম জব করে।
সঠিক ধারণা : সকাল ৮ টায় একটা ক্লাস, দুপুর বারোটায় একটা আবার বিকেল তিনটায় একটা ক্লাস যদি থাকে... কার এত সাধ্য আছে যে, সে পার্টটাইম জব করবে? অবশ্য অনার্স শেষের দিকে অনেকেই সাহসটা করে ফেলে।পড়াশুনার পাশাপাশি পার্টটাইম জব চালিয়ে যাওয়াটা অনেক টাফ!
উপন্যাস লিখে ফেলেছি রীতিমত...আজ এ পর্যন্তই থাক।
ইতি
মুহিত আহমেদ জামিল
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
১. ভুল ধারণা : পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া মানেই গার্ল ফ্রেন্ড ম্যানেজ করা নিয়ে নো টেনশন।পাবলিকে পড়তে পারলেই পেছনে গার্ল ফ্রেন্ডদের লাইন লেগে যাবে। একটা গার্ল ফ্রেন্ডতো কোন ব্যাপারই না। পাবলিক ভার্সিটি মানেই একাধিক গার্ল ফ্রেন্ড।
সঠিক ধারণা : গার্লফ্রেন্ড ম্যানেজ করা সবজায়গাতেই কঠিন। সেটা পাবলিক ভার্সিটি কিংবা প্রাইভেট ভার্সিটি আর যাইহোক না কেনো। সত্যি বলতে কি, মাইয়াগুলা না অনেক মোডি! পোলাপানদের পাত্তা দিতে চায় না। 😃
২. ভুল ধারণা : পাবলিকে পড়তে পারলেই হলো। চাকরী পাওয়া নিয়ে কোন চিন্তাই করা লাগবেনা।চাকরীদাতারা উঠে পরে লাগবে কে কার আগে বুকিং দেয় এইটা নিয়ে। পাবলিক ভার্সিটির ট্যাগ থাকলেই হলো, চাকরী আর যায় কই!
সঠিক ধারণা : গার্লফ্রেন্ড ম্যানেজ করার মত চাকরী ম্যানেজ করাও সহজসাধ্য ব্যাপার না।পাবলিকে পড়তে পারলেই চাকরী হয়ে যাবে, এইটা পুরোটাই একটা ফালতু ধারণা। চাকরী পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই যোগ্য হওয়া লাগবে। ভালো রেজাল্ট নিয়ে অনার্স, মাষ্টার্স কমপ্লিট করা সত্ত্বেও অনেক বড় ভাইকে চাকরীর জন্যে হন্যে হয়ে ঘুরতে দেখেছি। তবে এটা সত্য যে, সার্টিফিকেটে একটা পাবলিক ভার্সিটির নাম থাকা মানে, সার্টিফিকেটটার ওজন টা অনেক বেড়ে যাওয়া।
৩. ভুল ধারণা : পাবলিকে পড়া প্রত্যেকটা স্টুডেন্ট ওই একেকটা মাল্টিট্যালেন্টের ডিব্বা! এদের মত এতটা ব্রিলিয়ান্ট আর হয় ই না।
সঠিক ধারণা : পাবলিকে মাল্টিট্যালেন্টদের অভাব নাই, ইভেন আল্ট্রাট্যালেন্টদের সংখ্যাটাও কম না।এরা ড্রোন বানাতে পারে, রোবট বানাতে পারে, নতুন নতুন থিওরী বের করতে পারে, যুগান্তকারী আইডিয়া আবিষ্কার করে সবকিছু বদলে দিতে পারে...এইগুলা সত্য। কিন্তু এর মানে এই না যে, সব পাবলিক পড়ুয়ারাই অসাধারণ ট্যালেন্টেড আর ব্রিলিয়ান্ট হয়। পাবলিকে এমন এমন আবুল মার্কা কম জানা স্টুডেন্ট আছে এদের দেখলে মাঝেমাঝে আপনার সুইসাইড খেতে ইচ্ছে করবে।কেমনে যে এরা চান্স পায়?
৪. ভুল ধারণা : পড়তে পড়তে শহীদ হয়ে পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পেলেই হলো। সুখ আর সুখ! ভার্সিটিতে তো পড়াশুনা একদমই করা লাগে না।
সঠিক ধারণা : কিছু কিছু ডিপার্টমেন্ট আছে এইগুলাতে পড়তে পারলে আপনার লাইফ পুরোটাই হেল হয়ে যাবে। মাঝেমধ্যে কিন্ডারগার্টেনে পড়ছেন নাকি ভার্সিটিতে পড়ছেন এইটা নিয়ে কনফিউজড হয়ে যাবেন। ইন ফিউচারে আপনার সন্তান যখন আপনাকে প্রশ্ন করবে, বাবা তোমাদের ক্লাসে কতটা সুন্দরী মেয়ে ছিলো? আপনি তখন আন্সার দেবেন, বাবা, আমিতো অমুক ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট ছিলাম।পড়াশুনা আর রিসার্চের চাপটা এতটাই বেশী ছিল যে, আমাদের ডিপার্টমেন্টে আদৌ কোন মেয়ে ছিলো কিনা এইটাই খেয়াল করা হয়ে ওঠে নি! 😉
৫. ভুল ধারণা : গাল দুইটা মুখের ভেতরে ঢুকে গেছে, দেখতেও অনেক চিকন, মাথার চুল ইয়া লম্বা, উসকোখুসকোও, হাঁটতে গেলেই শরীরটা ডানে বামে হেলে পড়তে চায়, চোখে চশমা....তারমানে এরা পড়াশুনায় এতটাই বিজি যে, শরীর আর বাইরের পৃথিবী কিভাবে চলে এসব দেখার সময় ই তাদের হয়ে ওঠে না। এত্ত পড়াশুনা কেমনে যে করে!
সঠিক ধারণা : আমার ইয়ারমেট একটা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলো, " এডমিশন টেস্টে যে পরিমাণ পড়াশুনা করছিলাম, এখন যদি তার একভাগ পড়াশুনাও করতাম তাহলে বোধহয় ডিপার্টমেন্টে ফার্স্ট হওয়া কোন ব্যাপারই ছিল না। " বুঝতেই পারছেন অবস্থা করুণ। হাতে গুনা কয়েকজন ব্যতীত বাকীরা সারাদিন এটা ওটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। পড়াশুনার সময় কোথায় তাদের? টার্ম টেস্ট আর সেমিস্টার ফাইনাল আসলেই বই খোলার সুযোগ হয় বেশীর ভাগ স্টুডেন্টেরই। তাও পরীক্ষার আগের রাতে।পরীক্ষার আগের রাতে অনেকেই আবার স্ট্যাটাস মারে " কালকে পরীক্ষা...পড়ার টেবিলে বসতে গিয়েই খেয়াল হলো, আমারতো এখনো বইটাই কেনা হয় নি! "
৬. ভুল ধারণা : ক্লাসরুমে যখন ইচ্ছা ঢোকা যায় আবার যখন ভালো লাগে না তখন বেরিয়ে যাওয়াও যায়। তাছাড়া স্কুল কলেজের মত প্রত্যেক দিন ক্লাস করার ঝামেলাটাও নেই। ইচ্ছা হলেই ক্লাস করো, নাহলে নাই।
সঠিক ধারণা : ছোট বেলায় পাবলিক ভার্সিটি নিয়ে কথা উঠলেই এই ডায়ালগ টা শুনতাম।পাবলিক ভার্সিটিতে নাকি ইচ্ছামত ক্লাস করা যায়, যখন ইচ্ছা তখনি ক্লাসরুমে প্রবেশ করা কিংবা বের হওয়া যায়। ভার্সিটিতে চান্স পেয়ে দেখি, ব্যাপারটা সম্পূর্ণই উল্টো!
একদিনও ক্লাস মিস করা যায় না। স্কুল, কলেজে প্রায়ই অসুখ হয়েছে বলে ফাঁকি দেওয়া যেতো।কিন্তু এখানে এই সুযোগটা নাই। ক্লাস ফাঁকি দিলে কেউ কিছু বলবে না ঠিকি কিন্তু এ্যাটেনডেন্সে মার্কস আছে, যেইটা ফাইনালে যোগ হয়।ব্যস আর ফাঁকি দিবা কেমনে? অনেক স্যারদের ক্লাসে যথা সময়ের অনেক পরে এসেও প্রবেশ করার সুযোগ পাওয়া যায়।আবার অনেক স্যার ক্লাসে ঢুকেই দরজা অফ করে দেয়।দেরীতে আসলে ক্লাস মিস, সহজ হিসাব।আর ক্লাস থেকে ইচ্ছামত বের হওয়ার ব্যাপারটা এখন অবধি চোখে পড়েনি।অনুমতি ব্যতীত বাইরে যাওয়া যাবে না।
৭. ভুল ধারণা : পাবলিকে পড়ুয়াদের টিউশনির কোন অভাব হয় না। উচ্চ বেতনে প্রত্যেকেই চার-পাঁচটা টিউশনি করায়।
সঠিক ধারণা : চার-পাঁচটা টিউশনি অনেকেই করায়। বেশ টাকাও পায়। কিন্তু সবার ভাগ্য তো আর একি না। অনেকেই টিউশনি খুঁজতে খুঁজতে অবস্থা কাহিল করে ফেলে কিন্তু টিউশনি পড়ানোর কোন স্কোপ ই পায় না, উচ্চ বেতন তো অনেক পরের ব্যাপার।
৮. ভুল ধারণা : পড়াশুনার পাশাপাশি সবাই-ই একটা না একটা পার্টটাইম জব করে।
সঠিক ধারণা : সকাল ৮ টায় একটা ক্লাস, দুপুর বারোটায় একটা আবার বিকেল তিনটায় একটা ক্লাস যদি থাকে... কার এত সাধ্য আছে যে, সে পার্টটাইম জব করবে? অবশ্য অনার্স শেষের দিকে অনেকেই সাহসটা করে ফেলে।পড়াশুনার পাশাপাশি পার্টটাইম জব চালিয়ে যাওয়াটা অনেক টাফ!
উপন্যাস লিখে ফেলেছি রীতিমত...আজ এ পর্যন্তই থাক।
ইতি
মুহিত আহমেদ জামিল
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
No comments