বাচ্চাকে যে আটটি জিনিস করতে কখনই মানা করবেন না
বাচ্চাকে যে আটটি জিনিস করতে কখনই মানা করবেন না-
বাচ্চাদের বিধি-নিষেধের মাঝে রাখা ভাল বলেই সবাই ভাবেন, কথাটি ভুল নয়। তবে কিছু কিছু বিষয়ে তাদের একটু সহযোগিতা আর স্বাধীনতা দেয়া তাদের জন্য ভাল হবে।
১. প্রশ্ন: বাচ্চারা বড় হয়ে ওঠার পথে করতে থাকে শত শত প্রশ্ন। এটাই তাদের ব্যক্তিত্ব বেড়ে ওঠার মাধ্যম। তাদের প্রশ্ন কখনও এড়িয়ে যাবেন না, নিজে না জানলে তাকে সাথে নিয়ে প্রশ্নের উত্তর খুঁজুন।
২. কান্না: বাচ্চারা বড়দের তুলনায় হয় অনেক বেশি অনুভূতিপ্রবণ। তাই হুট করে কষ্ট পেয়ে কান্না করাটা তাদের জন্য খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তাদের কাঁদতে দিন, আটকাবেন না কোনভাবে। কান্নার মাধ্যমে কষ্টগুলো লাঘব করতে শেখান তাদের। এটা তাদের মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে।
৩. নিজের জিনিসে অধিকার: একটা বাচ্চা ঠিক বড়দের মতই নিজের জিনিসে অধিকার অনুভব করে। জোর করে তাকে তার জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিতে বাধ্য করাটা মোটেই ভাল কাজ হয় না।
৪. না বলার সুযোগ দিন: আপনার বাচ্চা একটি ব্যক্তিত্ব নিয়ে বড় হচ্ছে, তার নিজের পছন্দ অপছন্দ তৈরি হচ্ছে। আপনার কোন কথায় সে একমত নাও হতে পারে। তাকে সুযোগ দিন না বলার, একই সাথে তাকে বোঝান কিভাবে সে নিজের মতামতের পক্ষে যুক্তি স্থাপন করতে পারে।
৫. জোর করে চুপ চাপ থাকতে বাধ্য করবেন না: বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার সাথে হাসি-গল্প-মজা-চিৎকার সবই জড়িয়ে আছে। তার বেড়ে ওঠার জন্য নিজেকে প্রকাশ করতে পারতে হবে। তাই তাকে চিৎকার চেঁচামেচিতে সরাসরি বাধা না দিয়ে বলতে পারেন যে সে এটা একটু পরে করতে পারে।
৬. গোপনীয়তার অধিকার: আপনার বাচ্চা একটি ব্যক্তিত্ব নিয়ে বড় হচ্ছে, তাকে সুযোগ দিন নিজের কোন কিছু গোপন করে রাখার। সেটা হয়ত কিছুই না, খুব সামান্য কিছু, কিন্তু তার কাছে বিষয়টা অনেক জরুরী।
৭. ভয় পেতে বাধা দেবেন না: আপনার বাচ্চা হয়ত কোন ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ভয় পাচ্ছে। হয়ত সে ডাক্তার দেখলে ভয় পায়, হয়ত অন্য কিছু দেখে। এখন সেটা নিয়ে তাকে কোন ভাবে লজ্জায় ফেলা কোনভাবেই উচিত কাজ নয়। মানুষ ভয় পেতেই পারে, সময়ে সেটা কেটেও যাবে।
৮. ভুল করতে বাধা দেবেন না: বাচ্চা ভুল করছে দেখলে তাকে বাধা দেবেন না, কারণ ভুল থেকেই মানুষ সবচেয়ে ভালভাবে শেখে। তার ভুল শুধরে দিতে চেষ্টা করবেন না, কারণ সেটাও তাকে লজ্জায় ফেলতে পারে। তাকে সহায়তা করুন যেন সে নিজে নিজেই সঠিকটা করতে পারে।
বাচ্চা বড় করা মোটেই কোন সহজ কাজ নয়, এজন্য দরকার ধৈর্য। তবে সময়ে কাজটা সহজ হতে থাকে।
No comments