বিষণ্ণতা কাটাতে ১০ অভ্যাস চর্চা করুন
বিষণ্ণতা কাটাতে ১০ অভ্যাস চর্চা করুন
মেজাজ ভাল হওয়ার সাথে সাথে আপনি আপনার রুটিনে বড় রকমের পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন। যদি আপনি এই ভাল অভ্যাসগুলো আঁকড়ে ধরে থাকতে পারেন এবং একবার বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠে যান তবে আপনার ভাল অনুভূতি অব্যাহত থাকবে।
১. সহানুভূতিশীল বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনের সাথে সময় কাটানঃ আমাদের অনুভূতি গুলো নিয়ে অন্যদের সাথে তা আমাদের অনুভূতি ক্রমোন্নতি করতে সহায়তা করে এবং আমাদের সামনে তার একটা অবয়ব দাঁড় করায় ফলে আমরা পরামর্শ ও সমর্থন আদায়ে সক্ষম হই। কোনরকম সংকোচ বা অপরাধবোধ ছাড়াই তাদের সাহায্য চান।
২. যতটুকু চিবাতে পারবেন ততটুকুতে কামড় দিনঃ নিজেকে দোষারোপ করবেন না। চাপের পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করুন। বড় কাজ ভেঙে ছোট ছোট অংশে ভাগ করার চেষ্টা করুন এবং সেগুলো সম্পন্ন করার জন্য বাস্তবিক একটা সময়সীমা নির্ধারণ করুন।
৩. যে কাজটি আপনি উপভোগ করেন তা বেশি বেশি করুন যদিও তা আগের মতো আনন্দদায়ক না হয়ঃ শৈশবের কোন প্রিয় বই পড়ুন, সিনেমা কিংবা শপিং-এ যান, নতুন কাওন রেসিপি রান্না করুন, পুরনো বন্ধুর সাথে সময় কাটান অথবা যেকোন কিছু যা আপনাকে নেতিবাচক চিন্তার বাইরে রাখে।
৪. ঘরের বাইরে যান, শুধুমাত্র পার্কে হাঁটার জন্য হলেওঃ উজ্জ্বল দিনের আলো, মুক্ত বাতাস, নিত্যনৈমিত্তিক জীবনের হৈ চৈ কোলাহল সবকিছু আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে। ২০ মিনিট হাঁটার মধ্যেমে ছোটখাটো ব্যায়ামও করে ফেলতে পারেন।
৫. নেতিবাচক চিন্তাকে তাড়িয়ে দিনঃ আপনার নিজের সম্পর্কে ইতিবাচক গুণাবলীর একটা তালিকা তৈরি করুন। এটা সবসময় সাথে রাখুন এবং দিনে কয়েকবার পড়ুন। যত খারাপ অনুভব করুন না কেন মনে রাখবেন সবসময় আপনি একই রকম অনুভব করেননি এবং করবেনও না।
৬. আপনার অগ্রগতির ব্যাপারে বাস্তববাদী হোনঃ আপনার মনের অবস্থার উন্নতি হুট করে না হয়ে ধীরে ধীরে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এমনকি এই অভ্যাসগুলো চর্চার শুরুতে সে অবস্থার অবনতিও হতে পারে। তবে একবার সঠিক পথের দেখা পেয়ে গেলে তা আপনাকে গন্তব্যে নিয়ে যাবে।
৭. গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে বিরত থাকুনঃ এটা হতে পারে চাকরি ছেড়ে দেয়া অথবা বিবাহ বিচ্ছেদ কিংবা বড় অংকের টাকা খরচ করা বিষয়ে। বিষণ্ণতার সময় ভুল চিন্তা দ্বারা আপনার বিচার বিবেচনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৮. যতটুকু পারেন ঘুমানঃ একরাতের নিরবচ্ছিন্ন ঘুম এমনকি তন্দ্রা আপনার মেজাজের মধ্যে এক পৃথিবী পরিবর্তন এনে দিতে পারে।
৯. পেশাগত স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে সাক্ষাৎ করুনঃ আপনার পারিবারিক ডাক্তার বা সাইকিয়াট্রিস্ট যে পরামর্শ দেন তা গ্রহণ করুন। প্রয়োজনে কাউন্সিলিং নিন।
১০. যখন নেতিবাচক বা আত্মহত্যাজনিত চিন্তায় উদ্বেলিত হোন তখন কাকে ফোন দিবেন ঠিক করে রাখুনঃ এটা হতে পারে আত্মীয়, বন্ধু, ডাক্তার বা হেল্পলাইন। যদি প্রাথমিক সহায়তা না পান তবে কি করবেন তার জন্য বিকল্প পরিকল্পনা করে রাখুন। যথাযথ ফোন নাম্বারটি সবসময় সাথে রাখুন।
রিডার্স ডাইজেস্ট থেকে সংক্ষেপিত।
No comments